১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১২ই জুন পর্যন্ত এই বাড়িটি সামরিক কর্তৃপক্ষের অধীনে ছিল। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু পরিবারের কোন সদস্যকেই এমনকি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ১৭মে তারিখে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন এই বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় বাড়ির বাইরের সামনের চত্বরে মিলাদ পড়তে বাধ্য হন। হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের ঋণে নির্মিত ভবনটির ঐসময়ের প্রায় ১২ হাজার টাকার কিস্তি পরিশোধ না হওয়ায় নিলামে চড়ানো হয়। ১৯৮১ সালের জুন মাসের ১২ তারিখে বাড়িটি বুঝে নেওয়ার পর দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ঘোষণা করেছিলেন ঐতিহাসিক এই বাড়িটি হবে জনগণের। ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট ৩২ নম্বরের এই বাড়িটি "জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর" হিসেবে শুভ উদ্বোধন করা হয়। ৩২ নম্বরের বাড়ি ও টুঙ্গিপাড়ার বাড়ি দেখাশোনা করার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। ট্রাস্টের অধীনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর ছাড়াও শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল এন্ড নার্সিং কলেজ পরিচালিত হয়।
পবিত্র মাহে রমজান মাসের সময়সূচী:
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
জাদুঘরের সময় সূচি
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা থাকে।
সাপ্তাহিক ছুটি : বুধবার
প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা
১২ বছরের নিচের শিশুরা টিকিট ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবে।
১ মে, বিজয়া দশমী, শব-ই-বরাত, শব-ই-কদর, ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জাদুঘর বন্ধ থাকে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ভিভিআইপি অতিথিদের আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে জাদুঘর বন্ধ থাকতে পারে।